দৈনিক কালের নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এই (লালপুর) এলাকার বাড়ি-ঘর রাস্তা থেকে দেড় ফুট নিচে। পানি কখনো উপরের দিকে উঠবে না। পানির ফ্লো নিচের দিকে। আমরা এর সমাধানে এলজিইডি’র কাছে একটি প্রজেক্ট দিয়েছি। এই ফতুল্লা থেকে ৯০ লাখ টাকা বকেয়া বিল পায়, যা পরিশোধ করা হয় নাই। এখন এই টাকাটা কে পরিশোধ করবে। আমি আজ জেলা প্রশাসক সাহেবের সাথে কথা বলেছি যে, কে এই ৯০ লাখ টাকা দিবে। আমি বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে আবেদন করবো এই টাকাটা মওকুফ করার জন্য, আর এই আবেদনটা যাবে জেলা প্রশাসক হয়ে। মওকুফ করলে করবে, আর না করলে আমাদেরই কিছু একটা করতে হবে।
বুধবার (২৯ মে) বিকেলে ফতুল্লা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, যারা বিত্তবান আছেন তারা এগিয়ে আসলে ভালো হয়। পানি বন্দি মানুষকে, পানি থেকে মুক্ত করা সোয়াবের কাজ। এখানকার মানুষের ঘর, এমনকি মসজিদে পর্যন্ত ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি ঢুকে গেছে। ডিএনডির পাম্প পানি টানতেছে, মানুষ মনে করে সাথে সাথে পানি নেমে যাবে; মিনিমাম ৭২ঘন্টা লাগবে পানি নামতে। আর যেই পরিমানে বৃষ্টি হইসে, এটি নামতে একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি আলাদা গুরুত্বপূর্ণ সেন্টার হয়ে যাচ্ছে। তিনটা মেট্রোরেলের লাইন এখানে এসে থামবে। মেডিকেল কলেজ হবে। কিন্তু এই (জলাবদ্ধতা) সমস্যার সমাধান করতে পারছি না। কারণ এই (লালপুর) এলাকাটা খুব ঝামেলা করছে। এলাকার বাড়ি গুলো নিচু করা বানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারের আমলে সব সমস্যার সমাধান হবে। হয়তো একটু লেট হয়েছে। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমতা চাচ্ছি। কে কোন দল করে দেখার বিষয় না। আমার দেখার বিষয় হচ্ছে, মানুষ ভালো আছে কিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, বক্তবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ।